মোঃ রাছেলঃ
গত ৪ মাসে পেঁয়াজের পাইকারী ও খুচরা বাজার স্থিতিশীল নেই। শহরের একেক বাজারে দর একেক রকম। পাইকারী দর ১৮৫-২০০, খুচরা বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকা। সিন্ডিকেট ও অতি মুনাফার লোভে সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে নাবিশ্বাস করে তুলেছে ব্যবসায়ীরা। প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ এবং বাজার মনিরটরিং না থাকায় এই অবস্থা অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সকালে কচুয়া বাজার ঘুরে দেখা যায় পাইকারী আড়ৎ গুলোতে বড় সাইজের পেঁয়াজ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২১০-২২০ টাকা। ছোট সাইজের দেশীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২০০ টাকা করে। আদা প্রতি কেজি খুচরা ১৪০ টাকা, রসুন দেশী পাইকারি ১৩০-১৪০ ও খুচরা -১৬০ – চায়না রসুন -পাইকারি -১৩০-১৩৫- খুচরা – ১৪০-১৫০ টাকা।
কচুয়া বাজারের আড়ৎদার মহিব উল্লাহ্ জানান, আমরা কুমিল্লা ও ঢাকা থেকে পেঁয়াজ ক্রয় করেছি। সেখানে থেকে ক্রয় করা হয় দেশী কিং ১৯০ টাকা করে। তারপর পরিবহন খরচ শেষে এবং পঁচা পেঁয়াজ আলাদা করে আমাদের বেশি দরেই বিক্রি করতে হয়।
আরেক পাইকারী ব্যবসায়ী খায়ের মেম্বার ও জাকির হোসেন বলেন, আমরা খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বস্তা বিক্রি করি। কিন্তু খুচরা বিক্রেতারা তাদের ইচ্ছেমত একেক খুচরা ব্যবসায়ী ভিন্ন দামে বিক্রি করেছেন। এতে করে বাজারে সকল ব্যবসায়ীদের সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে।
এদিকে শহরের পাড়া মহল্লার দোকানগুলোতে কম পরিমাণে পেঁয়াজ এনে বিক্রি করছে ১৫-২০ টাকা বেশি দরে। মহল্লার দোকানগুলোতে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকার নিচে পেঁয়াজ ক্রয় করা সম্ভব হচ্ছে না।
কচুয়ার বাজারের একাধিক বাসিন্দার সাথে আলাপ করে জানা যায়, পেঁয়াজের মূল্য যখন কম ছিলো তখন অনেকেই একত্রে ৫-৭ কেজি ক্রয় করেছেন। কিন্তু এখন ওই মূল্যে ১ কেজি পাওয়া সম্ভব নয়। বাজারে পেঁয়াজ অহরহ মওজুদ থাকলেও সিন্ডিকেটের কারণে সাধারণ ক্রেতারা হয়রানি হচ্ছেন। বাজার নিয়ন্ত্রণে তারা সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রদক্ষেপ গ্রহনের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।